Bhorer Pakhi-The Bird of the Dawn
- Bhoomika
- Aug 5, 2018
- 2 min read

A pioneer of modern Bangla lyrical poetry and the guru of Rabindranath Tagore, was born in Kolkata on 21 May 1835. Biharilal Chakravarty was the first one to explore the depth of a poet's soul in Bengali poetry. Biharilal used a vocabulary composed of Sanskrit words as well as Bangla derivatives. His use of simple vocabulary, his choice of themes, and individuality of expression, distinguished him from other poets of his time. It has been quite a long time, since I've written something in Bengali. This post is a humble tribute to the Guru of My Guru.
“ভোরের পাখি”
তখনো “বঙ্গদর্শন” প্রকাশ হয় নাই । “অবোধবন্ধু” নামের পত্রিকায় এক সাহিত্যিক, সম্পাদনার সাথে সাথে কাব্যও রচনা করিতেছিলেন । দুঃখের বিষয় ইহা যে, কিছু বৎসর পর তাহা বন্ধ হইয়া গেল । সৌভাগ্যক্রমে জ্যোতি দা তাহারই মধ্যে কিছু পত্রিকা ও পত্র সজত্নে তাঁহার আলমারির মধ্যে তুলিয়া রাখিয়াছিলেন এবং সে লেখা পড়িবার প্রলোভনে আমাদের কবি, ভ্রাতার নিষেধ অমান্য করিয়া পত্রগুলি গোপনে হস্তক্ষেপ করিলেন । সেই দুষ্কর্মের জন্য তিনি কোনোদিন শাস্তি পান নাই বরং তাহা করিয়াছিলেন বলিয়া “বাল্মিকীপ্রতিভা” র মত গীতি নাট্য আমরা পাইয়াছি । কবির মতে বাল্মিকীপ্রতিভার মূল ভাব, ভাষা, সেই সাহিত্যিকের “সারদামঙ্গল” কাব্য থেকে গৃহীত । সমসাময়িক কবিদের সহিত মূল প্রভেদ ছিল তাঁর ভাষাতে। অনেক কবি পংক্তির শেষে ক্রিয়াপদের মিল তথা “খেয়েছে”, “গেয়েছে”, “করেছে”, “মরেছে” কে প্রধান মিল বলিয়া গণ্য করেন যাহাতে কবিদের শব্দের ভান্ডারে ভাঁটা পড়িবার ইঙ্গিত পাওয়া যায় । কিন্তু, এই সাহিত্যিকের শব্দ ও মিলের দৈন্য ছিল না ; কোথাও মনে হইবার জো নাই, তাঁহাকে জবরদস্তি, দায় পড়িয়া শব্দ মিলাইতে হইয়াছে । সহজ ভাষা, প্রকাশভঙ্গির অভিনবত্ব, আধুনিক বিষয় ভাবনা, তাঁহাকে অন্য কবিদের থেকে সম্পূর্ণ আলাদা করিয়াছিল । এই কবিকেই স্বয়ং রবীন্দ্রনাথ তাঁহার “কাব্যগুরু” বলিয়া সম্বোধন করিয়াছিলেন । ইনিই “ভোরের পাখি”, বিহারীলাল চক্রবর্তী । সাধারন পাঠক যখন
“নির্ঘোষে! ভাতিল অসি অগ্নিশিখাসম
ধূমপুঞ্জসম চর্মাবলীর মাঝারে
অযুত! নাদিল কম্বু অম্বুরাশি-রবে!”
এর অর্থ বাহির করিতে ব্যস্ত, তখন চিত্তবীনার নিভৃত ঝংকারে নিমতলা নিবাসী এই কবি লিখিয়া ফেলিয়াছিলেন,
সর্বদাই হুহু করে মন,
বিশ্ব যেন মরুর মতন,
চারিদিকে ঝালাপালা,
উঃ কি জ্বলন্ত জ্বালা!
অগ্নিকুণ্ডে পতঙ্গ পতন।
ভূমিকা,
২৩ অঘ্রাণ, ১৪২৪
কলকাতা
Comments